পেজ ভিজিট: ২৪,৯৬,৯৩১ | অনলাইন: ৬
English
বিভাগ অনুসারে দেখুন

মা ভবানী মন্দির


জেলার ভিডিও দেখুন
Card image cap

মা ভবানী মন্দির

Card image cap

যোগীর ভবন

Card image cap

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক


পরিচিতি

উপমহাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৫১টি পীঠস্থানের মধ্যে অন্যতম বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঐতিহাসিক মা ভবানীর মন্দির। প্রতিবছর দেশ বিদেশের লাখো পুণ্যার্থী আসেন এ মন্দিরে।

সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। বিভিন্ন সূত্র মতে, করতোয়াতটের এ ভবানীপুরে সতী মাতা তারার বাম পায়ের অলঙ্কার বা বাম পাঁজর বা ডান চোখ বা বিছানা পড়েছিল বলে জানা যায়।ভবানীপুর বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত শক্তিপীঠসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের ভক্তরা সারা বছর এখানে তীর্থে আসেন।

কথিত আছে যে এখানে একদা একজন শাঁখাওয়ালা (শাঁখা নির্মাতা) ভবানীপুর মন্দিরের ধারের গভীর জঙ্গলের পাশের একটি পুকুরের ধার অতিক্রম করছিলেন। এমন সময় সিঁথিতে সিঁদুর দেয়া একটি ছোট মেয়ে তার কাছে গিয়ে বলেছিল যে সে নাটোর রাজবাড়ির রাজকন্যা। সে শাঁখাওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া শাঁখা কিনল এবং বলল যে শাঁখাওয়ালা যেন নাটোরের মহারাণীকে বলেন যে প্রাসাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা ঝুড়ি থেকে তার শাঁখার দাম দিয়ে দেন। শাঁখাওয়ালা মেয়েটির বিনীত কথায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শাঁখা দিয়ে দিলেন। শাঁখাওয়ালার মুখ থেকে ছোট মেয়েটির কথা শুনে মহারাণী লোকজন ও সেই শাঁখাওয়ালাকে নিয়ে মেয়েটির বলা জায়গায় গেলেন। শাঁখাওয়ালার প্রার্থনা শুনে মা ভবানী সেই শাঁখা-পুকুর থেকে তার দুই হাতের শাঁখা তুলে দেখালেন। মহারানী ও সেখানে উপস্থিত লোকজন এতে বিস্মিত হলেন এবং মা ভবানীর (মা তারার) মহিমা এই উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ল।

পরবর্তীতে নাটোর রাজপরিবার থেকে এই পুকুরের সংস্কার করা হয় এবং বর্তমানে এই কিংবদন্তির শাঁখা-পুকুরে তীর্থযাত্রীরা স্নান করেন।

মাঘী পুর্ণিমা ও রাম নবমী উৎসব ঘিরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এ মন্দির প্রাঙ্গণে। তাই সবমিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করে ইতিহাসবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

অবস্থান ও যাতায়াত

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের সবুজ শ্যামলে ঘেরা সৌন্দর্যের যেন এক লীলাভূমি মা ভবানী মন্দির। মন্দিরটির একদিকে ভবানীপুর বাজার অন্যদিকে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। আর মন্দিরের চারদিক ঘিরে রয়েছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি পুকুর। এর মধ্যে মন্দিরের উত্তর পাশ ঘেঁষে একটি পুকুর রয়েছে। যেটি শাঁখারি পুকুর নামে পরিচিত।  

বিজ্ঞাপন - অনলি টুটুল

Like My Facebook

সর্বশেষ

মিরিঞ্জা ভ্যালি

বান্দরবান ,চট্রগ্রাম

21 Nov 2024

সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা

সিলেট ,সিলেট

11 Jan 2024

চেয়ারম্যান ঘাট

নোয়াখালী ,চট্রগ্রাম

10 Jan 2024

নলচিড়া ঘাট, হাতিয়া

নোয়াখালী ,চট্রগ্রাম

09 Jan 2024

ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক

নোয়াখালী ,চট্রগ্রাম

07 Jan 2024

যোগীর ভবন

বগুড়া ,রাজশাহী

06 Jan 2024 | ভিডিও দেখুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী ,রাজশাহী

05 Dec 2023

মা ভবানী মন্দির

বগুড়া ,রাজশাহী

04 Dec 2023 | ভিডিও দেখুন

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক

বগুড়া ,রাজশাহী

22 Aug 2023 | ভিডিও দেখুন

বাঘা মসজিদ

রাজশাহী ,রাজশাহী

03 Jul 2023

Creating Document, Do not close this window...