ময়নামতি জাদুঘর ১৯৬৬ সালের ১২ মার্চ
প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লার শালবন বিহার, আনন্দ
বিহার, শ্রীভবদের মহাবিহার, কোটিলা
মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবানমুড়া,
ইটাখোলা মুড়া, রানির বাংলা, ভোজ বিহারসহ বিভিন্ন বিহার খননকালে পুরোনো দিনের অনেক মূল্যবান
পুরাসামগ্রী খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পুরাবস্তু সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্যই শালবন
বিহারের দক্ষিণ পাশে শালবনকে সামনে রেখে পশ্চিমমুখী একটি জাদুঘর স্থাপন করা হয়।
জাদুঘরের প্রবেশপথের বাঁ পাশেই রয়েছে
গৌতম বুদ্ধের বিশালাকার একটি ব্রোঞ্জের মূর্তি। তার পরই রয়েছে বেলে পাথরে
দণ্ডায়মান বৌদ্ধের মূর্তি যা আনুমানিক সপ্তম শতকের দিকে তৈরি। ১২-১৩ শতকের দুটো
তাম্র শাসনের পাণ্ডুলিপি রয়েছে।
জাদুঘরের প্রবেশ পথের বাম দিকে থেকে
১নং খোপে রাখা নিদর্শন দিয়ে প্রদর্শনী আরম্ভ করে ক্রমান্বয়ে চারদিক ঘুরে ঘুরে
প্রবেশ দ্বারের ডান দিকে ৪২ নং প্রদর্শনীতে এসে শেষ হয়েছে।
ভবনের উত্তর দিকে পরিসর বাড়িয়ে আরো
২১টি আধার সংযুক্ত করা হয়েছে। যেগুলোতে এখনো কোনো প্রদর্শনী বস্তু রাখা হয়নি।
প্রদর্শনী আধারগুলোতে প্রত্মতাত্ত্বিক স্থান খননের উম্মোচিত স্থাপত্যসমৃদ্ধ
ধ্বংসাবশেষের ভূমি-নকশা, প্রাচীন মুদ্রা,
পোড়া মাটির ফলক, ধাতুলিপি ফলক, মৃন্ময় মুদ্রক-মুদ্রিকা, ব্রোঞ্জ মূর্তি, পাথরের মূর্তি, কাঠের মূর্তি, লোহার
পেরেক, পাথরের গুটিকা, অলংকারের অংশ,
ঘরে ব্যবহৃত মাটির হাড়ি-পাতিলসহ প্রাচীনকালে ব্যবহৃত তৈজসপত্র
সংরক্ষিত রয়েছে।
এ ছাড়া আধারের ফাঁকে ফাঁকে মেঝের ওপর
জাদুঘর ভবনের বিভিন্ন স্থানে কিছু পাথর এবং ব্রোঞ্জ মূর্তিও প্রদর্শনের জন্য রাখা
হয়েছে। এসব মূর্তির কয়েকটি প্রাচীন সমতটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত। জাদুঘরে
প্রদর্শনের উল্লেখযোগ্য পাথর ও ব্রোঞ্জ মূর্তিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাথরের
দণ্ডায়মান লোকোত্তর বুদ্ধ মূর্তি, ত্রি
বিক্রম বিষ্ণুমূর্তি, তারা মূর্তি, মারীছী
মূর্তি, মঞ্জুরের মূর্তি, পার্বতী
মূর্তি, হরগৌরী মূর্তি, নন্দী মূর্তি,
মহিষমর্দিনী মূর্তি, মনসা মূর্তি, গণেশ মূর্তি, সূর্যমূর্তি, হেরচক
মূর্তি এবং ব্রোঞ্জের বজ্রসত্ত্ব মূর্তি অন্যতম। এ ছাড়া ছোট-বড় আকারের ব্রোঞ্জের ও
মাটির তৈরি মূর্তি রয়েছে।
ঢাকা চিটাগাং হাইওয়েতে বিশ্বরোড থেকে সিএনজি,
অটো-রিকশা করে কোটবাড়ি যেতে
পারেন। কুমিল্লা শহরের টমছম ব্রিজ থেকেও
সিএনজিতে করে সরাসরি যেতে পারেন।
Total Site Views: 1449814 | Online: 7