বাখরাবাদ গ্যাস
ক্ষেত্রটি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে এটির অবস্থান ৪০ কিলোমিটার
পূর্বে। তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র এর মতো এটিও ১৯৬৯ সালে তদানিন্তন পাকিস্তান শেল
অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করে। বাখরাবাদের ক্ষেত্রটি সরু ও লম্বাটে, এবং প্রায় ৬৯ কিলোমিটার
দীর্ঘ ও ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখানকার মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১.০৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
(টিসিএফ)। ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০০৯ সালের
৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এখান থেকে সর্বমোট ৬৯৬.৫৯৬ বিলিয়ন ঘনফুট অর্থাৎ মোট মজুদের ৬৬.৪০৬%
উত্তোলন করা হয়েছে।
বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের
২ স্থানে মোট ৮টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটিই উলম্বভাবে খোঁড়া কূপ।
বাকিগুলো তীর্যকভাবে খোঁড়া হয়েছে। কূপগুলো চালু হবার পরে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদন হয়েছে
১৯৯২ সালে, যখন দৈনিক ২১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হতো। বরতমানে ৫টি কূপ চালু আছে
যা থেকে দিনে ৩৫-৩৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হয়। বাকি ৩টি কূপ জলাবদ্ধতার কারণে পরিত্যক্ত
হয়েছে। এখান থেকে উত্তোলিত গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেডের মাধ্যমে সারাদেশে
সরবরাহ করা হয়।
বর্তমানে এখানকার
কন্ডেনসেট ও গ্যাসের অনুপাত ০.৭০ এবং পানি ও গ্যাসের অনুপাত ১৩.০৮৮ বিবিএল/মিলিয়ন
ঘনফুট। এখানকার কন্ডেনসেটকে প্রক্রিয়াজাত করে পেট্রল ও ডিজেল তৈরি করা হয়, যা মেঘনা
পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বাজারজাত করে থাকে।[সংগৃহীত]
জাহাপুর, মুরাদনগর
উপজেলা, কুমিল্লা।
মুরাদনগর উপজেলা
সদর হতে সি.এন. জি ও বাস যোগে জাহাপুরে যাওয়া যায়। মুরাদনগর থেকে জাহাপুরে সিএন. জি
ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। দেবিদ্বার, কুমিল্লা থেকেও সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।
Total Site Views: 1444737 | Online: 7