আশে-পাশের দশ গ্রামের শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কেউ জানেনা এর জন্ম কভে? কে বা কারা রোপন করেছে এটি? কিন্তু একটা কথা সবাই জানে, আর তা হচ্ছে এই বটগাছের কারনে এই এলাকার নামকরন করা হয়েছে বটতলী। কালের পরিক্রমায় সবাই শুনেছে বটগাছের নানা কাহিনী। কখনো তা হয়েছে আনন্দেও আর কখনো তা হয়েছে ভয়ের, আবার কখনো তা ঘুম পাড়ানী, কখনো পূজা-অর্চনার, আবার কখনো তা রোগ-মুক্তির প্রতীক হিসাবে। স্থানীয় এবং পর্যটকেরা জানান, শত বছর বয়সের এই বটগাছটি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার বটতলী নামক গ্রামে অবস্থিত। প্রায় এক একর জায়গার উপর অবস্থিত এই গাছটি অনেকের নিকট ভূত-প্রেতের জন্য এক সময় আতংকের স্থান হিসাবে পরিচিত থাকলেও এখন সেই পরিচয় একেবারেই বিলুপ্ত। ইতিমধ্যেই বটগাছটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি স্কুল, একটি মাদ্রাসা, কয়েকটি ছোট-ছোট দোকান ঘর। মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ এবং উপজেরা প্রশাসন বটগাছের চার-পাশে সোন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নিয়ে আংশিক বাস্তবায়ন ও করেছে। শতবর্ষী এই বটগাছটিকে প্রতিদিন অনেকে দেখতে আসে এবং তারা এই গাছটিকে ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে দেখতে চায়। স্থানীয় পাহাড়িরা এইগাছের নিছে পূজা করে এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের হাত হতে মুক্তির প্রত্যাশা করে। পিছিয়ে নেই বাঙ্গালীরাও, তারা ও বিভিন্ন বালা-মছিবতের হাত হতের্ ক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের মানত করে। গাছটিতে একটি বড় সাপের বস-বাস আছে বলেও বিশ্বাস করেন এলাকাবাসী এবং তারা এও বিশ্বাস করেন বিশেষ-বিশেষ দিনে সাপটি বের হয়। তবে কারও ক্ষতি করার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি। পহেলা বৈশাখে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । আশে-পাশের দশ গ্রামের লোক জড় হয় এখানে। বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। শুধু মাটিরাংগা উপজেলা পরিষদ নয়, সরকারের সংশি¬ষ্ট পর্যটন মন্ত্রনালয় এগিয়ে আসবে শতবর্ষী এই বটগাছটিকে ঐতিয্যের অংশ করতে -এটাই স্থানীয়দের চাওয়া।[অপু দত্ত]
খেদাছড়া মাটিরাঙ্গা। মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। খাগড়াছড়ি শহর থেকে বাসে চড়ে প্রায় বিশ মিনিটের পথ। নামতে হয় মাটিরাঙ্গা ১০ নম্বর রিজিয়নে। সেখান থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা।
Total Site Views: 1449781 | Online: 4