বাংলাদেশের অন্য অনেক ঝর্ণার মতো সুবলংয়ের এই ঝর্ণাটিও তার প্রকৃত রূপের পসরা সাজায় বর্ষার সময়টাতেই। এ সময় প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে সশব্দে পাহাড়ি এই জলধারা নেমে আসে সমতলে।সুবলং ঝর্ণার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, একক কোনো ধারায় না পড়ে এই ঝর্ণাটি তার উঁচু অবস্থান থেকে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ধারায় একই সমান্তরালে নেমে আসে। ফলে ঝর্ণা থেকে পড়া পানির ধারাটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য্যের জন্ম দেয়।এ ঝর্ণায় যেন আদিবসী জীবনের সাথে মিশে আছে। আর একারণেই বড়কল উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮টির মতো ঝর্ণা থাকলেও এই ঝর্ণাটি দেখতেই বছরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোকের সমাগমঘটে। তাছাড়া এই ঝর্ণাটির পানি উপর থেকে পতনের সময় খুব সীমিত জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে বলে পর্যটকরা ঝর্ণাধারা উপভোগ করতে পারেন বেশ কাছ থেকেই। রাঙ্গামাটি সদর থেকে সুবলংয়ের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার।
শুভলং, বরকল উপজেলা। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার, পর্যটন ঘাট ও রাংগামাটি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে স্পীড বোট ও নৌ-যানে করে সহজেই সুবলং যাওয়া যায়। যার ভাড়ার পরিমাণ ঘন্টা প্রতি স্পীড বোট ঘন্টায় ১২০০-১৫০০/- এবং দেশীয় নৌযান ৫০০-৮০০/- টাকা।
Total Site Views: 1539148 | Online: 8