আদিবাসী
কোচ সম্প্রদায়ের রাজা বেবুদ এই
পুকুরটি খনন করিয়েছিলেন। তবে
স্থানীয়রা এও মনে করেন
যে বেবুদ রাজা ছিলেন হাজং
সম্প্রদায়ের রাজা।
বেবুদ
রাজার পুকুরকে ঘিরে প্রচলিত কল্পকাহিনী:
স্থানীয়দের
ভাষ্যমতে ১৬শ শতকে উপজাতি
কোচ সম্প্রদায়ের রাজা ছিলেন বেবুদ।
রাজা বেবুদ এবং তাঁর পুকুরকে
ঘিরে কয়েকধরনের কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। কথায় আছে
একবার খরার সময় পানির
সংকট দূর করার জন্য
রাজা বেবুদ এই বিশাল পুকুরটি
খনন করলেও পুকুরটি পানিতে পূর্ণ হয়নি। এরপর রাজা বেবুদ
স্বপ্নযোগে পুকুরে পানি আনার জন্য
তাঁর স্ত্রীকে এই পুকুরে বলী
দেওয়ার নির্দেশ পান। রাজা বেবুদ
তাঁর স্ত্রী শম্পারানীকে স্বপ্নের কথা জানালে শম্পারানী
রাজাকে স্বপ্নে প্রাপ্ত নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলেন
তবে তিনি রাজার কাছে
তাদের শিশু সন্তানের ভবিষ্যতের
ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করেন কারন শিশু
সন্তানটি পুরোপুরি শম্পারানীর উপর নির্ভরশীল ছিল।
পরদিন ঘুমের মধ্যে রাজা বেবুদ আবারো
স্বপ্নটি দেখেন তবে এবার তিনি
তাঁর শিশু সন্তানের বিষয়ে
জিজ্ঞেস করেন। স্বপ্নযোগে রাজা জানতে পারেন
যে তাঁকে একটি জাদুর আংটি
দেওয়া হবে এবং তিনি
যদি এই আংটি নিয়ে
পুকুর পাড়ে আসেন তবে
শম্পারানী ফেরত আসবেন শুধুমাত্র
তাদের শিশু সন্তানটিকে খাওয়ানোর
জন্য। সন্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশ্বস্ত হয়ে পরদিন রানী
পুকুরের মাঝখানে চলে যান। এতে
করে পুকুরের পানি আস্তে আস্তে
বাড়তে থাকে এবং এক
পর্যায়ে স্রোতের তীব্র ঘূর্ণিতে পড়ে শম্পারানী পুকুরে
তলিয়ে যান। এরপর যখনই শিশু সন্তানটি
ক্ষুধায় কান্নাকাটি করত, রাজা বাচ্চাটিকে
পুকুর পাড়ে এনে আংটি
দিয়ে পুকুরের পাড়ে ঘষা দিতেন
এবং এতে করে রানী
মানব আকৃতিতে ফিরে এসে তাঁর
সন্তানকে খাওয়াতেন
বেবুদ
রাজার দীঘিটি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত।এটি স্থানীয়ভাবে বেবুদ রাজার পুকুর এবং বেবুইদ্দার পুকুর
নামে পরিচিত।
Total Site Views: 1448642 | Online: 6