গাজীপুরে অবস্থিত যে কয়টি রিসোর্ট আছে তাদের মধ্যে ছুটি অন্যতম। গাজীপুরে সুকুন্দি গ্রামে ৫০
বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই রিসোর্ট। রিসোর্টের গা ঘেঁষে রয়েছে গভীর জঙ্গল। আছে দুটো বড়
মাঠ, অসংখ্য গাছ আর আছে বিশাল একটা দিঘী। এতে ফুটে আছে লাল পদ্ম আর ঘাটে বাঁধা আছে
নৌকা। দিঘীতে ভ্রমণের বেবস্থাও রয়েছে। আপনি চাইলে সম্পূর্ণ গ্রামীণ আমেজে থাকতে পারেন ।
আবার যদি চান তবে পাবেন ইট কাঠ বালুর কটেজ। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল পূর্ণিমাতে।
রিসোর্টের নিয়ম অনুসারে ভরা পূর্ণিমা বা চাঁদনী রাতে বিদ্যুতের আলো জ্বালানো হয় না, আপনি যদি
ভরা পূর্ণিমা এবং রিমঝিম বর্ষা উপভোগ করতে চান, তবে ছুটি রিসোর্টই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত। এখানে
খাবার হিসেবে সকালে পরিবেশন করা হয় চালের নরম রুটি অথবা চিতই পিঠা, সঙ্গে দেশী মুরগির
তরকারি, সবজি ও ডাল ভুনা। গরম গরম চা অথবা কফি।
ছুটি রিসোর্টটিতে বিভিন্ন ধরনের কটেজ ভাড়া বিভিন্ন রকম।
কাঠের কটেজ: লেক ভিউ, ২ বিছানা, এল ই ডি টিভি, বারান্দা এবং এতাচ বাথরুম। ভাড়া – ৬০০০+
ফ্যমিলি কটেজ: লেক ভিউ, ২টি পৃথক এসি কক্ষ, ২টি বড় আকার বিছানা, হ্রদ সংযুক্ত স্নান, LED টিভি, লিভিং
রুম, বারান্দা ও কাঠের ডেক. ২ কপল / ৪জন ++ ভাড়া – ১০০০০+
এ ছাড়াও রয়েছে প্রিমিয়াম কটেজ যার ভাড়া – ৮০০০+, সেমি প্রিমিয়াম কটেজ যার ভাড়া – ৫০০০+, এবং রয়েল
কটেজ যার ভাড়া – ৯০০০+
আরো আছে ডরমিটরি যেখানে জনপ্রতি সিট ভাড়া এক হাজার টাকা।
পিকনিক স্পট ভাড়া: ৯০০০০ – ১০০০০০ টাকা।
এছাড়া মাছ ধরার বেবস্থাও রয়েছে বড়শি দিয়ে।
আছে খাবারের জন্য ভাল মানের রেস্টুরেন্ট এবং পিকনিক স্পট।
রেস্টুরেন্ট এর বৈশিস্ট:
প্রতিষ্ঠান: ছুটি বিশেষ খাদ্য
ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাদ্য
ভারতীয় মসলাযুক্ত খাবার
বিরতি ফাস্ট (ঐতিহ্যবাহী ওরিয়েন্টাল ও কন্টিনেন্টাল)
তাজা রস, মিনারেল ওয়াটার, আইস ক্রিম, নরম পানীয়
ঐতিহ্যবাহী পিঠা, বারবিকিউ
থাকা ও খাওয়া
খাওয়াসহ সারা দিনের জন্য জনপ্রতি ১২০০ টাকা। সঙ্গে বিনা মূল্যে রয়েছে বোটিং, ফিশিং ও সাইট সিয়িং।
বাচ্চাদের জন্য প্লে জোন। রাতে থাকার জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ। প্রতিটি কটেজে দুটি বেডরুম,
ডাইনিং-ড্রয়িং। কটেজ ভাড়া ছয় হাজার টাকা প্রতি রাত। ডরমিটরি আছে। জনপ্রতি সিট ভাড়া এক হাজার টাকা।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান, মহাখালী থেকে বিআরটিসি কিংবা অন্য যেকোনো বাসে গাজীপুর শহর। সেখান থেকে রিকশায়
তিন কিলোমিটার আমতলী বাজার। আমতলী বাজারের পাশেই ছুটি রিসোর্ট ও পিকনিক কর্নার।